BIRBHUMI BARTA

BIRBHUMI BARTA [ ELECTRONIC MEDIA PORTAL ]

Popular Posts

ADHD কে মোটামুটি আমি রোগ বলছি না। এটা কিন্তু একটা ক্ষমতাতে রূপান্তরিত করা যায়। কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জেনে নিন....

ADHD কে মোটামুটি আমি রোগ বলছি না। এটা কিন্তু একটা ক্ষমতাতে রূপান্তরিত করা যায়। কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জেনে নিন....

ADHD কে মোটামুটি আমি রোগ বলছি না। এটা কিন্তু একটা ক্ষমতাতে রূপান্তরিত করা যায়। কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জেনে নিন....

সৌজন্যে -বীরভূমি বার্তা।
Albert Einstein এরও ADHD ই লক্ষণ ছিল জানেন? আচ্ছা নতুন কিছু নাম বলি
Will Smith,Emma Watson,Albert Einstein প্রমুখদের ও ADHD এর লক্ষণ এবং সমস্যা ছিল! তারা এখন কোথায় আছেন সেটা ভালো করেই সবাই জানেন। বর্তমানে বাইরের দেশে ADHD treat করিয়ে অনেকেই ভালো স্থানে আছেন। ভারতে একটা বড় সংখ্যা ADHD নিয়েই বড় হচ্ছে এবং আগামী দিনে অনেক ব্যবহারিক এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছে।

আসলে ADHD হচ্ছে এমন একটা বিষয় ঠিক যেন চার চাকা গাড়িতে সাইকেলের ব্রেকের মতন। তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা অতিরিক্ত 
শুধু ব্রেক এর বিষয়টা অনিয়ন্ত্রিত।
রেগুলার অভিভাবকত্ব পদ্ধতিটা তাদের কাছে কার্যকর নয়,যার ফলে সমস্যা বেড়ে যায়। কারণ  শিশুদের অস্থিরতা শিশুদের কাছে সাধারণ,তাদের অভিভাবক সেটা মেনে নিতে না পেরে তাকে জোর দেন, উপেক্ষা করেন কিংবা অপমানিত করেন, ফলে শিশু আসতে আসতে অন্তরে অন্তরে ভাবতে থাকে সে হয়তো এই 
পরিবেশের জন্য নয় এবং শুরু হয় সমস্যা।
পিতা মাতারা অনেক সময় বিষয়টিকে উপেক্ষা করেন বাচ্চাদের বদমাশি শয়তানি বলে ছেড়ে দেন এবং সমস্যাটি থেকে যায় অনেক সময় প্রাথমিকভাবে চলে গেল আগামী দিনে গিয়ে শিশুদের সমস্যা হয়। Regular Toddler behavior এবং ADHD এর ব্যবহারের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য থাকে সেটা নির্য়ন করিয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে সমস্যা শুরু হয় বা সবার নজরে আসে।
প্রায় প্রতিদিনই, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অনুপযুক্ত আচরণ সম্পর্কে স্কুল থেকে তথ্য পাবেন।
 ক্রমাগত ক্লাসে ব্যাঘাত ঘটানো, তার শিক্ষক এবং সহপাঠীদের জন্য অনেক সমস্যা সৃষ্টি করবে।
 ক্লাস চলাকালীন নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে পারবে না এবং প্রায়শই তার শিক্ষককে বাধা দেবে। সে ১০ মিনিটের জন্যও স্থির থাকতে পারবে না এবং অদ্ভুত শব্দ করে লাফাবে জিনিস ছুঁড়ে দেবে ইত্যাদি।
ক্লাস চলাকালীন, সে ঘুরে বেড়াত, গাছপালা জল দিত, নাকে হাত দিতে, তার সহপাঠীদের চেয়ারে লাথি মারতে এবং টেবিল থেকে তাদের স্কুলের জিনিসপত্র ফেলে দেবে।
 কথা বলা, বোঝানো, সতর্ক করা, পুরষ্কার এবং শাস্তি... কিছুই কাজ করবে না।
তখন বাবা-মা এবং শিক্ষক উভয়েই তার অনুপযুক্ত আচরণ পরিচালনা করতে পারবে না
এবং ভুলভাল মানুষের পরামর্শে সন্তানকে আরো জটিলতার দিকে ঠেলে দেবেন তাই এরকম সময় এরকম লক্ষণ দেখা দিলেও অবশ্যই একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করতে হবে তাদের দেয়া পদ্ধতিতে অভিভাবকত্ব এবং তার পড়াশোনা কে পরিচালনা করতে হবে যাতে আগামীদিনে গিয়ে সে সবার মত না সবার থেকে আরও এগিয়ে যেতে পারে।

বেপরোয়াভাবে, এলোমেলোভাবে এবং জোর করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায় না।
সুপরিকল্পিত এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির দ্বারায় এই বিষয়গুলিকে হ্যান্ডেল করা যায়। 
ক্লাসিক্যাল প্যারেন্টিং পন্থা ADHD আক্রান্ত শিশুদের জন্য কাজ করে না।


 আপনারা কি করবেন: অভিজ্ঞ থেরাপিস্টদের থেকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো আপনাদেরকে শিখতে হবে।

 ✅আবিষ্কার করুন কখন এবং কোন পরিস্থিতি আপনার সন্তানকে ট্র্যাক থেকে দূরে ফেলে দেয়, যাতে আপনি সময়মতো ভবিষ্যতে একই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে পারেন;

 ✅আপনার সন্তানকে আরও গ্রহণযোগ্য উপায়ে তীব্র, আবেগপ্রবণ এবং আক্রমণাত্মক আক্রোশ প্রকাশ করতে সাহায্য করুন;
 আপনার সন্তানকে কীভাবে শান্ত করতে হয় তা শিখুন যাতে তারা নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য বোধ করে;

 ✅বুঝুন কিভাবে ADHD সহ আপনার সন্তানকে বই নিয়ে বসে অন্তহীন সময় কাটাতে বাধ্য না করে স্কুলের জন্য অনুপ্রাণিত করবেন;

 ✅জানুন কিভাবে সঠিক মুহুর্তে আপনার সন্তানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয় এবং আপনার সাথে সহযোগিতার দিকে এটিকে পুনঃনির্দেশিত করতে হয়;

 ✅ আপনার সন্তানের প্রতিরোধ না করে কীভাবে নির্দিষ্ট "কঠিন" পরিস্থিতিগুলি পরিচালনা করবেন তা শিখুন।

একই সাথে চার বছর থেকে ছয় বছরের মধ্যে যেসব শিশুদের মধ্যে এ ডি এইচ ডি লক্ষণ দেখা যাবে তাদের একাডেমিক ইমপ্রুভ করার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি আছে যেগুলির মাধ্যমে তারা পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট হবে তাদের ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার তারা করতে পারবে এবং আস্তে আস্তে এই পড়াশোনায় সে নিমজ্জিত হবে এবং পড়াশোনার যে সুফল সেটা তারা গ্রহণ করতে পারবে এবং আস্তে আস্তে সহযোগী পরিবেশের সাথে তারা মানিয়ে নিতে পারবে এবং বিশেষ স্কিল ডেভেলপমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

ADHD কে রোগ ভাবা বন্ধ করতে হবে একই সাথে এটা কিছুই নয় নিজে নিজে ঠিক হবে সেটিও কিন্তু নয়। বাচ্চারা যদি অতিরিক্ত hyper থাকে কিংবা impulse বা অমনোযোগী হয় তাহলে চার থেকে সাত বছরের মধ্যেই এক্সপার্ট অপিনিয়ান নিয়ে নেওয়া উচিত। এখন অনেক শিক্ষণ এবং অভিভাবকত্ব পদ্ধতি বেরিয়েছে যেটা শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য খুবই কার্যকরী।
একবার পরীক্ষা করিয়ে নিতে কোনো ক্ষতি নেই এছাড়াও মর্ডান লার্নিং মেথড ব্যবহারে সাধারণ শিশুরাও আগামী দিনে নিয়ে পড়াশোনা তে ভালো ফলাফল করে। 

প্রিয়নীল পাল (সাইকোলজিস্ট )

0 Response to "ADHD কে মোটামুটি আমি রোগ বলছি না। এটা কিন্তু একটা ক্ষমতাতে রূপান্তরিত করা যায়। কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জেনে নিন...."

Post a Comment

Ads on article

Advertise in articles 1

advertising articles 2

Advertise under the article